| |
               

মূল পাতা জাতীয় আগামী নির্বাচনেও প্রহসনের খেলা হবে : জাফরুল্লাহ চৌধুরী 


আগামী নির্বাচনেও প্রহসনের খেলা হবে : জাফরুল্লাহ চৌধুরী 


রহমত ডেস্ক     19 January, 2022     04:04 PM    


গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আরেকটা প্রহসনের খেলা হবে। যেখানে সরকারি কর্মকর্তা ছাড়া কিছু নাই। মাদকাসক্তির দ্বায়িত্ব দেয়া হয় এমন ব্যক্তিদের যারা আগে এসব জায়গা কাজ করেন নাই। তারপর সাইকিয়াট্রিস্ট, সাইকোলজি কিংবা ডাক্তারি কোন জ্ঞান নেই। উনার একমাত্র কোয়ালিফিকেশন আমলা। ঠিক একইভাবে যে নির্বাচন কমিশন হবে সেখানেও আমলার প্রাধান্য। এই সব জায়গাতে আপনারা যদি খেয়াল করে থাকেন। ডিসি সাহেবেরা ২৬৬টা দাবি করেছিলেন। তাদের সব ক্ষমতা দেয়া হোক। তাদের জনগণের মতামত দরকার নেই, তাদেরই ক্ষমতা দেয়া হোক।

আজ (১৯ জানুয়ারি) বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে এন্টি ড্রাগ সোসাইটি আয়োজিত ‘মাদকের ভয়াবহতা রোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আবু ইউসুফ বাদল, জাতীয় তরুণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফজলুল হক, বাংলাভিশনের বার্তা সম্পাদক বদরুল আলম নাবিল, বিবেকের চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু প্রমুখ।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার ডোপ টেস্টে অনেক উৎসাহী। কিন্তু কতজনকে ডোপ টেস্ট করাবেন। সবগুলোতে সরকারের ভুল নীতি। সরকার তো জনগণের প্রতিনিধি না। সরকার তো নির্বাচিত সরকার না। সরকারের মাদকের বিষয়ে জিরো ট্রোলারেন্স শুধুমাত্র প্রচারের জন্য। তুমি যা পারো করতে থাকো। আমি লুট করেছি রাতের বেলার ভোট, তুমি করো মাদকাসক্তি। আজকে লুটের যে রাজত্ব হয়েছে তা বন্ধ করতে হলে সরকারকে কতগুলো নীতিতে যেতে হবে।  এই মাদকাসক্তির বিস্তার ঘটার জন্য সরকার দায়ী। তার চিকিৎসা না হওয়ার জন্যও সরকার দায়ী। আজকে অনৈতিক বিশৃঙ্খলার জন্য সরকার দায়ী। আমলাদের হাতে দেশ চলতে পারে না। জনপ্রতিনিধিদের হাতে দেশ চলবে। এবং জনপ্রতিনিধিরা এসব মাদক নির্মূলের দ্বায়িত্ব নিবে। সিগারেট বন্ধ করে মাদক নির্মূলের অভিযান শুরু করতে হবে, আজকে আমাদের মাদকের ব্যপারে সতর্ক হতে হবে। তার জন্য বন্ধ করতে হবে পথেঘাটে সিগারেট। কোনো পুলিশ কর্মকর্তা চাকরি পাবে না সে যদি সিগারেট খায়। কোনো সরকারি কর্মকর্তা চাকরি পাবে না, সে যদি সিগারেট খায়। এখান থেকেই শুরু করতে হবে।